Male Infertility/ পুরুষ বন্ধ্যাত্ব এর কারণে কখন টেস্ট টিউব বেবি বা IVF/ICSI করা প্রয়োজন হয়?
পুরুষদের সমস্যাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে:
এ্যাজোস্পারমিয়া, যখন, বীর্যে শুক্রাণু বা স্পারমেটোজোয়া একেবারেই অনুপস্থিত থাকে।
গুরুতর অলিগোএ্যাসথেনোস্পারমিয়া, যেক্ষেত্রে, শুক্রাণুর সংখ্যা ও সক্রিয়তা এতই কম যে, আই.ইউ.আই করে লাভ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না।
এখন মনে হতে পারে যে, সিমেন এ্যানালাইসিসে যদি শুক্রাণু একেবারেই না পাওয়া যায়, তাহলে আই.ভি.এফ-এর জন্য প্রয়োজনীয় শুক্রাণু কোথা থেকে সংগ্রহ করা হয়। এখানে লক্ষণীয় যে, এ্যাজোস্পারমিয়ার দু’টি কারণ থাকতে পারে- প্রথমত, কোন কারণে যদি শুক্রাণু তৈরী হওয়া একেবারেই বন্ধ হয়ে গিয়ে থাকে, যেমন, ‘টেস্টিকিউলার ফেইলইউর’বা ‘ম্যাচিউরেসান এ্যারেস্ট’-এর মতো কোন সমস্যায়। দ্বিতীয়ত, শুক্রাণু তৈরী হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু, পথে কোনো বাঁধা থাকার কারণে তা সিমেনে আসতে পারছে না। সুতরাং, এ্যাজোস্পারমিয়ার কারণ নির্ণয়ের জন্য আমরা রোগীর কিছু রক্ত পরীক্ষা করে থাকি। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, রোগী যদি প্রথম কারণে এ্যাজোস্পারমিক হন, তবে তার ক্ষেত্রে আই.ভি.এফ করা সম্ভব নয়। কারণ, আই.ভি.এফ করার জন্য স্বামীর কাছ থেকে অন্তত একটি হলেও শুক্রাণুর প্রয়োজন হয়। সৌভাগ্যক্রমে, বেশীর ভাগ রোগীরই এ্যাজোস্পারমিয়ার কারণ দ্বিতীয়টি, অর্থাত, তৈরী হওয়া শুক্রাণু কোন কারণে সিমেনে আসতে পারছে না। এমন ক্ষেত্রে, শুক্রাণু যেখানে তৈরী হয়, অর্থাত, টেস্টিস বা এপিডিডিমিস থেকে ‘পারকিউটেনিয়াস এপিডিডিমাল স্পার্ম এ্যাসপাইরেসান’ বা ‘PESA’ এবং ‘টেস্টিকিউলার স্পার্ম এ্যাসপাইরেসান’ বা ‘TESA’ পদ্ধতির মাধ্যমে শুক্রাণুগুলোকে আমরা সংগ্রহ করি। আর, রোগীর স্ত্রীর ডিম্বাণুগুলোকে ওষুধের মাধ্যমে আগেই বড় করা হয়। এরপর, মহিলাকে অজ্ঞান করে আই.ভি.এফ ল্যাবে এই ডিম্বাণুগুলোকে আলট্রাসনোগ্রাফিক গাইড্যান্সে ওভাম পিক-আপ নিডেলের সাহায্যে আলাদাভাবে টেনে নেয়া হয়। এরপর, আই.ভি.এফ ল্যাবে কালচার ডিশে সংগৃহীত শুক্রাণু ও ডিম্বাণুগুলোকে ফার্টিলাইজেসানের জন্য একত্রে রাখা হয়। ফলশ্রুতিতে, কিছু কিছুর ফার্টিলাইজেসান হয়। এরপর, এই ফার্টিলাইজড ওভাম বা ডিম্বাণুগুলোকে আমরা পর্যবেক্ষণে রাখি। আমরা দেখতে পাই যে, এগুলো দু’টি কোষ থেকে চারটি, চারটি থেকে আটটি- এভাবে বাড়তে থাকে। একটা পর্যায়ে, ল্যাবে তৈরী করা এই এমব্রিও বা ভ্রুণগুলোকে মহিলার জরায়ুতে ট্র্যান্সফার করা হয়। খুব সহজ ভাষায় বলতে গেলে, এই পদ্ধতিই হচ্ছে “ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেসান” বা আই.ভি.এফ।
বিগত পনের বছরে ‘ইন্ট্রাসাইটোপ্লাজমিক স্পার্ম ইনজেকসান’ বা ‘ICSI'(ইক্সি) নামের একটি পদ্ধতি পুরুষ বন্ধ্যাত্বের চিকিত্সায় বিপ্লব এনে দিয়েছে। যদি কোন পুরুষের মারাত্মক এ্যাজোস্পারমিয়া বা গুরুতর অলিগোএ্যাসথেনোস্পারমিয়া থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে দেখা যায় যে, শুক্রাণুর সংখ্যা এবং সক্রিয়তা অতিরিক্ত কম হওয়ার কারণে কালচার ডিশে শুক্রাণু এবং ডিম্বাণুকে একত্রে রাখলেও ফার্টিলাইজেসান হয় না। এসব ক্ষেত্রে, ফার্টিলাইজ করার জন্য শুক্রাণু বা স্পারমেটোজোয়াটিকে ইনজেকটিং পিপেটের সাহায্যে সংগ্রহ করে মাইক্রোম্যানুপুলেটরের নীচে ওওসাইটের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। অন্যথায়, এসব ক্ষেত্রে ফার্টিলাইজেসান হওয়া কোনক্রমেই সম্ভবপর হত না। ‘ইক্সি’র মাধ্যমে তাই এমন দম্পতিকেও আমরা বাচ্চা এনে দিতে পারছি, যেক্ষেত্রে, স্বামীটি হয়তো এ্যাজোস্পারমিক অথবা গুরুতর অলিগোস্পারমিক।
এখানে উল্লেখ্য যে যেকোনো গুরুতর পুরুষ সমস্যার কারণে যে চিকিত্সা গুলো করতে হয়, সেটা IUI, IVF অথবা ICSI যেটাই হোক না কেন ,তার পুরোটুকুই হয় তার স্ত্রীর ওপরে।
জনাব.আমি ৩মাস পরে দেশে ছুটিতে আসছি.আশাকরি আপনি আমার চিকিৎসায় আর একটি সফল হবেন ইনশাল্লাহ ,৩মাসের ছুটি আমার.একটা অনুরুদ যুদি সম্ভব হয় আপনার ফোন নাম্বার দিলে অনেক খুশি হতাম,দেশে এসে আপনাকে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হবে,আপনার শুভকামনা করছি,