বন্ধ্যাত্ব চিকিত্সার প্রাথমিক পর্যায়ে কী কী পরীক্ষা করা প্রয়োজন?
অনেক রোগীরই একটি ভ্রান্ত ধারণা আছে যে, বন্ধ্যাত্বের চিকিত্সার প্রাথমিক পর্যায়ে অনেক ব্যয়বহুল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন হয়। প্রকৃতপক্ষে, ব্যাপারটি মোটেও সেরকম নয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, একজন মহিলা বা একটি দম্পতি যখন আমাদের কাছে আসেন, তখন প্রাথমিকভাবে তাদের কী কী করা প্রয়োজন হয়?
প্রথমেই, মহিলাটির একটি বেসলাইন ট্রান্সভ্যাজাইনাল আলট্রাসনোগ্রাফি স্ক্যান করা অবশ্যকরণীয়। এই একটি মাত্র পরীক্ষার মাধ্যমে মহিলাটির জরায়ুতে কোনো টিউমার বা অন্য কিছু আছে কিনা, তার ওভারিগুলো ভালো আছে কিনা, বা, সেখানে কোনো সিস্ট আছে কিনা, তা দেখা সম্ভব। এমনকি পলিসিস্টিক ওভারি, যা বাংলাদেশে খুবই common, সেটিও কেবলমাত্র এই একটি আলট্রাসাউন্ডের মাধ্যমেই নির্ণয় করা সম্ভব। এছাড়া, মহিলাটির জন্য একটি প্রাথমিক ডায়াবেটিক পরীক্ষা করাই যথেষ্ট।
যদি, মহিলাটির মাসিক অনিয়মিত হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে, প্রোল্যাকটিন হরমোন এবং থাইরয়েড হরমোন পরীক্ষা করার প্রয়োজন হতে পারে।
মহিলাটির বয়স যদি খুব বেশি হয়, সেক্ষেত্রে অনেক সময় তার ডিম্বাশয়ের রিজার্ভের অবস্থা জানার জন্য আরো তিনটি হরমোন পরীক্ষা করার প্রয়োজন হয়ে থাকে।
লক্ষ্যণীয় যে, পুরুষটির ক্ষেত্রে বা তার স্বামীর ক্ষেত্রে, কেবলমাত্র সিমেন এ্যানালাইসিস বা একটি সাধারণ বীর্য বিশ্লেষণ পরীক্ষা করাই প্রাথমিক পর্যায়ে তার সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য যথেষ্ট।